মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

ঠান্ডায় নাকাল জনজীবন

মেঘনাপোষ্ট ডেস্করিপোর্ট :

চাঁদপুরে এক সপ্তাহ জুড়ে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। দিনভর সূর্যের আলো না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা দিনে ও রাতে একই থাকছে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝড়ছে কুয়াশা। টানা তীব্র শীতের কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ।

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা সপ্তাহব্যাপী তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়েও কিন্তু উদ্বিগ্ন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত দুইদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

কুয়াশা ভেদ করে দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র শীতে ব্যাহত জনজীবন। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশু ও বড়দের শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালেও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

এদিকে, নদী পাড়ের অনেক মানুষ হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে। একদিকে শীতের কুয়াশা অন্যদিকে হিমেল বাতাস। গবাদি পশু ও শিশুরাও অতিরিক্ত ঠান্ডায় বেশ কাতর হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধ রোগী ভর্তি হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে হাজার হাজার কম্বল জেলার ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হলেও অনেকে এখনও শীতবস্ত্র না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিকে,চাঁদপুর নদী উপকূলীয় ও চরাঞ্চলেও জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু চাঁদপুর সদর ও অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দারা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন অনেকটা স্থবির। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। এই শীত উপেক্ষা করেও কাজ করতে বাইরে বের হতে দেখা গেছে অধিকাংশ খেটে খাওয়া মানুষকে। শহর,গ্রাম কিম্বা চরাঞ্চলের অনেক মানুষকে এমনকি শিশু কিশোর,তরুন,যুবকদের খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা যাচ্ছে।

শহরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা জুলহাস জানান, মেঘনা পাড়ের লোকজনের শীত খুবই নাজুক অবস্থা।শীতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বলেন,সারা দেশেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

আজকে চাঁদপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে,দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই—এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পাশাপাশি দেশের উত্তর—উত্তর—পূর্ব দিকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

এদিকে আজ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশায় বিমান, অভ্যন্তরীন নৌ—পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com